Bengali Jokes

শাশুড়ি : তোমার দু’টো চোখ আছে কী করতে? চাল থেকে দু’টো পাথর বাছতে পার না? রোজ খেতে বসে একই জিনিস দাঁতে লাগে।
বউ : আপনার বত্রিশটা দাঁত আছে কী করতে? দু’টো পাথর চিবোতে পারেন না?

রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হল। চেয়ারম্যান একটু যাচাই করে নিতে চাইলেন–
চেয়ারম্যান : ধর, একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। কী করবে তুমি?
প্রার্থী : লাল নিশান ওড়াব।
চেয়ারম্যান : যদি রাত হয়?
প্রার্থী : লাল আলো দেখাব।
চেয়ারম্যান : লাল আলো যদি না থাকে?
প্রার্থী : তা হলে আমার বোনকে ডাকব।
চেয়ারম্যান : বোনকে! তোমার বোন এসে কী করবে?
প্রার্থী : কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন দুর্ঘটনা দেখার!

প্রশ্নকর্তা: আপনি সিভিতে উল্লেখ করেছেন– কোমর পানিতে, নোংড়া পানিতে সাঁতারে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। চাকরি তো করবেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে। তার ওপর কোমর পানিতে–নোংড়া পানিতে সাঁতার! এসব কী! সিভিতে কেউ এ কথা লেখে?
বল্টু: স্যার, আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি– ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি হলেও অফিসে পৌঁছাতে অসুবিধা হবে না আমার!
প্রশ্নকর্তা: সরি, আপনাকে ভুল বোঝার জন্য! আপনি আজই জয়েন করুন! আপনার মতো লোকই তো খুঁজছিলাম এতদিন!

হোটেল ম্যানেজার : স্যার, রাতে ভালো ঘুম হয়েছে তো?
বোর্ডার : খুব! আপনার হোটেলের মশা এমন শক্তিশালী যে আমার প্রায় উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে ভাগ্যিস খাটে ছারপোকা ছিল। ওরা আমাকে টেনে ধরে না রাখলে সকালে আমাকে হয়তো অন্য কোথাও পেতেন।

কিসলু একদিন নিজের অটোরিকশায় করে প্রেমিকা মলিকে নিয়ে শপিং মলে ঘুরতে গেছে। পার্কিংয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিসলু অটোর একটা চাকা খুলতে শুরু করল–
মলি : অটোর চাকা খুলছ কেন?
কিসলু : দেখতে পাচ্ছ না এখানে লেখা আছে ২ চাকার জন্য পার্কিং?

এক লোক তার পোষা কবুতরগুলো হাটে তুলেছেন। ক্রেতাকে বলছেন–
বিক্রেতা : এই কবুতরগুলো নেন ভাই, খুবই প্রভুভক্ত।
ক্রেতা : তাই নাকি? তা কেমন করে বুঝলেন খুব প্রভুভক্ত?
বিক্রেতা : আমি যতবারই এগুলো বিক্রি করেছি, ততবারই আমার বাড়িতে আবার ফিরে এসেছে।

রুবেল এক দোকানে গেছে কেক কিনতে–
রুবেল : ভাই কেকের দাম কত?
দোকানদার : দুটি কেকের দাম ২৫ টাকা।
রুবেল : তাহলে এই একটি কেকের দাম কত?
দোকানদার : ১৩ টাকা।
রুবেল : ঠিক আছে, ১২ টাকায় অন্য কেকটি দিয়ে দেন।

এক ফকির পিচ্চি মেয়েকে বলছে–
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে বেটা।
পিচ্চি : আমি বেটা না, বেটি।
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে বেটি।
পিচ্চি : আমার নাম স্বর্ণা।
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে স্বর্ণা।
পিচ্চি : আমার পুরা নাম নাদিয়া শারমিন স্বর্ণা।
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে নাদিয়া শারমিন স্বর্ণা।
পিচ্চি : হ্যাঁ, এখন ঠিক আছে! এবার মাফ করেন।

পাপ্পু একবার এক দোকানে গেছে রেসলিং এ জয়ী হওয়া ঘড়ি ঠিক করার জন্য–
পাপ্পু : আমি আমার এই ঘড়িটা ঠিক করতে চাই। কত টাকা লাগবে?
দোকানদার : আপনি যা দিয়ে কিনেছেন তার অর্ধেক দিলেই চলবে।
পাপ্পু : আমি ঘড়িটা ৩২টা ঘুসি মেরে পেয়েছি। তো কয়টা দিতে হবে?